যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি গবেষক শেখ আবির হোসেনের মরদেহ ১২ দিন পর তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পৌঁছেছে। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বুধবার রাতে তার মরদেহ তাদের বাড়িতে পৌঁছালে একনজর দেখতে সেখানে শ’শ’ মানুষের ভিড় জমে।
এদিকে, ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মা আঞ্জুয়ারা বেগম। ছেলের শোকে তার আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
মা আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ছিনতাইকারীদের বাধা দেয়ায় ছেলেকে জীবন দিতে হয়েছে। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর টেক্সাসের ক্রিস ফুড মার্ট নামে একটি রেস্টুরেন্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে শেখ আবির হোসেন নিহত হন। আবির কলারোয়া উপজেলার উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ঝাপাঘাট গ্রামের মৃত শেখ আজিজুল হাকিমের ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করে স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লামার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে যান। পাশাপাশি টেক্সাসের বুমন্ট শহরের ক্রিস ফুড মার্ট নামে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। পাঁচ ভাই তিন বোনের মধ্যে আবির সবার ছোট।
নিহতের ভাই শেখ জাকির হোসেন জানান, এক বছর আগে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায় আবির। স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পিএইচডি শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার ছয় মাস পরে তার স্ত্রী সানজিদা আলম মজুমদার ও শিশু কন্যা আরশিয়াকে সেখানে নিয়ে যান। গবেষণা কাজের পাশাপাশি টেক্সাসের স্থানীয় ক্রিস ফুড মার্ট নামে একটি রেস্টুরেন্টে খন্ডকালীন কাজ করতেন। আবিরের স্ত্রী সানজিদা আলম তার দুই বছরের শিশুকন্যা আরশিয়াকে নিয়ে নিউইয়র্কে তার মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন। আবির থাকতেন টেক্সাসে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে তাদের বাবা আজিজুল হাকিম মারা যান।
তিনি জানান, রাতেই তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
Leave a Reply